ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

থমকে আছে কক্সবাজার পৌরসভার ৩৫ একর জমি উদ্ধার তৎপরতা

cnশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২১ আগস্ট ॥

কক্সবাজার পৌরসভার মালিকানাধীন ০.৩৫ একর জমি উদ্ধার তৎপরতা দীর্ঘদিন থমকে আছে। পৌরসভার নালা-ছরা দখল করে ১২৯ জন প্রভাবশালী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। প্রাথমিক তালিকায় থাকা এসব দখলদারের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৪৬ জন দখলদারের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন আগে উচ্ছেদ অভিযানে নামে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীকে নিজ নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয় কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী গত ৭ আগস্ট অবৈধ দখলকারীদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যায়।

কক্সবাজার পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের ঘোনার পাড়ায় নালা দখল করে ডাঃ দিপংকর বড়–য়া। বৈদ্যঘোনা রাস্তার মুখ সংলগ্ন দখল করে গোলাম মোর্শেদ। বৈদ্যঘোনা রাস্তার মুখ সংলগ্ন নালা দখল করে বদিউল আলম। গোলদীঘির পুকুরের উপর দখল করেছে আবদুর রাজ্জাক। গোলদীঘির উত্তর পাড় কালভার্ট সংলগ্ন কিয়দাংশ দখল করে আফি মং। গোলদীঘির উত্তর পাড় কালভার্ট সংলগ্ন কিছু অংশ দখল করে আখন ঞে।

গোলদীঘির উত্তর পাড় দখল করে কেওসিন, ঘোনা পাড়া রাস্তার মোড়ে দখল করে সুনিল দে, বৈদ্যঘোনা রাস্তার মুখে দখল করে মংক্য রাখাইন। বৈদ্যঘোনা রাস্তার মুখ ও রাস্তার দক্ষিণ পাশ দখল করে থেমিয় বড়–য়া, বৈদ্যঘোনা রাস্তার মাথা, রাস্তার পূর্ব পাশ দখল করে খোরশেদ, ঘোনাপাড়া রাস্তার মুখ ও রাস্তার উত্তর পাশ দখল করে বখতিয়ার জামাল চৌধুরী, বৌদ্ধ মন্দির প্রধান গেইট সংলগ্ন নালার পশ্চিম পাশ দখল করে আবদুল্লাহ, বৌদ্ধ মন্দির সড়কস্থ কালভার্ট দখল করে মাহাতাব, বার্মিজ মার্কেট আগের পড়শী নালার উপর উভয় পাশ দখল করে লোকমান মাষ্টার।

এরপরে নালার পশ্চিম পাশ দখল করে এডভোকেট বখতিয়ার আহমদ। সর্বশেষ নালা দখলবাজের তালিকায় রয়েছে চাউল বাজারে মৌলভী জালাল আহমদের ছেলে।

কক্সবাজার পৌরসভা সূত্রে আরও জানা যায়, যে সকল ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পৌরসভার সম্পত্তি ও পয়ঃ নিষ্কাশনের নালা ও ছরা দখল করে অবৈধ অবকাঠামো/স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদেরকে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে গত ৭ আগস্টের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ব্যর্থ হলে পৌরসভার আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারামতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তা অপসারণ করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এই আইনের অধীনে ইমারতের মালিক বা অবৈধ দখলদারের নিকট হতে অপসারণকৃত ব্যয়িত অর্থ পৌরকর হিসেবে সংশ্লিষ্ট দখলকারীদের নিকট হতে আদায় করা হবে মর্মে নির্দেশ জারি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৭ আগস্টের মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে অবৈধ দখলকারীদের দখলকৃত নালা ও ছরা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দান করলেও অদ্যাবধি অবৈধকারীদের অনেকে দখল ছেড়ে দেননি। অন্যথায় পৌর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা থাকলেও উচ্ছেদ করা হয়নি। যার কারণে অবৈধ দখলকারীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। আদৌ এসব অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে কিনা সন্ধিহানে রয়েছে পৌরবাসী।

কক্সবাজার পৌরসভার সচিব মোঃ সামছুদ্দিন জানান, ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল। তাই গত ৭ আগস্টের পর অভিযান চালানোর কথা থাকলেও সম্ভব হয়নি। কবে অভিযান চালানো হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ভাল বলতে পারবেন।’

পাঠকের মতামত: